রাস্তায় ৪০ লাখ ‘বাংলা টেসলা’, উচ্ছ্বসিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

| শুক্রবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১:০৪ অপরাহ্ণ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে হাজারো অভিযোগ থাকলেও নিজস্বভাবে তৈরি এসব বাহনকে উৎসাহ দেওয়ার পক্ষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিন চাকার এসব বৈদ্যুতিক বাহনকে ‘বাংলা টেসলা’ হিসেবে বর্ণনা করে জাতীয় সংসদে তিনি বলেছেন, আমরা চাচ্ছিলেড ব্যাটারি থেকে তারা যেন লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে আসে। এজন্যে একটা পাইলট প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিন চাকার বাহন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানিয়ে শামীম ওসমান তার প্রশ্নে বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলছে। রিকশার মধ্যেও ব্যটারি লাগানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক এবং চলাও নিষিদ্ধ। এই অটোরিকশাগুলো যে চার্জ করে, তার ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ চুরি করে। তারা আমাদের ৭/৮শ মেগাওয়াট বিদ্যুত খরচ করছে। এগুলো একযোগে সারা দেশে বন্ধের কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেবেন কিনা?

জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, এগুলোকে বলা হয়, ইলেকট্রিক ভেহিক্যল। বিশ্বে এখন বিপ্লব চলছে, কত দ্রুত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে ইলেকট্রিকে নিয়ে যাওয়া যায়। এতে সুবিধা দুটো। তেলচালিত গাড়ির ইঞ্জিনের ইফিসিয়েন্সি লেভেল হল ২০ শতাংশ। অপরদিকে ইলেকট্রিক দিয়ে এনার্জি সঞ্চয় করে গাড়ি চালাবেন, তার ইফিসিয়েন্সি হল ৮০ শতাংশ। মূলত আমরা উৎসাহিত করি যত দ্রুত পারে বাজারে আসুক ইলেকট্রিক ভেহিক্যলগুলো। এতে তেলচালিত বাহনে কিলোমিটার প্রতি যেতে যদি ১০০ টাকা লাগে, বিদ্যুতচালিত যানে সেই দূরত্ব যেতে লাগবে ২০ টাকা।

বাংলাদেশে ৪০ লাখের বেশি বিদ্যুৎচালিত থ্রি হুইলার আছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এসব বাহন লেড ব্যাটারি ব্যবহার করে। তাতে চার্জ করতে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগে। লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করলে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা। এসব অটোরিকশাকে লেড ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম ব্যাটারিতে আনতে ‘অচিরেই’ একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জিআইজেডের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই ৪০ লাখ থ্রি হুইলারকে আমি বলি বাংলা টেসলা, নিজ হাতে তৈরি করছেন। আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কাজ করছেন। আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। হ্যাঁ, যান্ত্রিকভাবে এতে ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ যেটা ব্যবহার করছে তার রিটার্ন কিন্তু অনেক বেশি। এই ৪০ লাখ রিকশাচালক যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, তারা অবশ্যই আয় করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএআর টি সেল থেরাপি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন অধ্যায়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামকে আধুনিক বাণিজ্যিক রাজধানী তৈরি করতে কাজ করছে সরকার