রাস্তাঘাট ও নালা-নর্দমা পরিষ্কারে সম্পৃক্ত করা হবে শিক্ষার্থীদের

কুসুম কুমারী স্কুলে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাস্তাঘাট ও নালানর্দমা পরিষ্কারসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলগুলোতে ‘হেলথ প্রোগ্রাম’ ও পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে ‘পরিবেশ ক্লাব’ গড়ে তোলা হবে। তিনি গতকাল বুধবার জামালখান কুসুম কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সিডিএর বোর্ড মেম্বার সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সমাজসেবক মনজুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান উদ্দিন ও সাবেক প্রধান শিক্ষিকা লিলি বড়ুয়া।

মেয়র নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, নৈতিক শিক্ষার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। যদি একজন ডাক্তার উচ্চ শিক্ষিত হয়েও দরিদ্রদের চিকিৎসা না করতে পারে, তবে সে শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। একইভাবে যদি একজন শিক্ষক মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সুযোগ না পান, তাহলে তার অর্জিত শিক্ষা সমাজের জন্য তেমন কোনো উপকার বয়ে আনবে না। তিনি বলেন, আমরা চাই সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষার্থীরা শুধু ভালো ফলাফল করুক তা নয়, তারা যাতে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে ওঠে। তোমরা (শিক্ষার্থীরা) দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের নৈতিক শিক্ষা, মানবিকতা আর দেশপ্রেমই আগামী দিনের চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে।

ডা. শাহাদাত শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধূলারও গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সুস্থ্থ দেহ ও মন গঠনে ক্রীড়া অপরিহার্য। ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা, শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে। এসময় শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং, মাদকাসক্তি ও ইভ টিজিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজসেবকদের সমন্বয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই শিক্ষা তখনই প্রকৃত অর্থে সার্থক হবে, যখন তা আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫২ গবেষকের হাতে গবেষণা অনুদানের চেক প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের কালজয়ী আঞ্চলিক গান