রাসায়নিক রাখার তথ্য গোপন করায় বিএম কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম শ্রমিক–কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক তপন দত্ত অভিযোগ করেন, রাসায়নিক দ্রব্য থাকার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের কাছে গোপন করার কারণে ৪৮ তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। তথ্য গোপন করে মালিকপক্ষ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় মালিকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি তো দূরে থাক বরং তাদেরকে বাঁচানোর জন্য নানা প্রক্রিয়া ও ফন্দিফিকির আমরা অবলোকন করছি। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়– এরমধ্যে বিস্ফোরণে নিহতদের প্রত্যেকের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবি রয়েছে। আহতদের চিকিৎসাকালীন বেতন ছুটিসহ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের মধ্যে কেউ পঙ্গু হয়ে গেলে তাদের ক্ষেত্রে আজীবন আয় ও ভোগান্তি হিসাব করে তার সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেউ আংশিক পঙ্গু হলে তাদের পুনর্বাসনসহ অঙ্গহানি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম মহানগর ও আবাসিক এলাকা থেকে সব কন্টেনার ডিপো দ্রুত স্থানান্তরের উদ্যোগ নিতে হবে। কন্টেনার ডিপোগুলোর নিরাপত্তা ঘাটতি নিরুপণের জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক নাজিম উদ্দীন, শ্রমিক নেতা শফর আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।