আমাদের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। অধিকাংশই আমরা মুসলিম। ইসলামে হিজরি সন ও তারিখের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব–তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। ইসলামের বিভিন্ন বিধি বিধান হিজরি সনের ওপরই নির্ভরশীল। মুসলিম উম্মাহ্ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান ও আনন্দ–উৎসবের ক্ষেত্রে হিজরি সনের অনুসরণ করে থাকে। আর এই হিজরি সন মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক–বাহক তাই একজন মুসলমান হিসেবে হিজরি সনের আগমনে উদ্বেলিত ও আনন্দিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় তাতে মনে হয় আরবী হিজরি নববর্ষ যেন আমাদের কোনো প্রয়োজনই নেই! এছাড়া অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় উৎসব পালনের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতিকেও কিন্তু এ দেশে প্রমোট করা হচ্ছে! আর হিজরি নববর্ষকে তেমন গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে না! অথচ হিজরি নববর্ষকে গুরুত্বসহকারে পালন করাই ছিল আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কাম্য। কারণ হিজরি সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্মরণীয় ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে। কাজেই বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবিজী (দঃ)’র স্মৃতিবিজড়িত সন গণনার প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মহররম ছুটি ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে হিজরি সন উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মুহাম্মদ তওফীক্ব ইলাহি ক্বাদেরী
শিক্ষার্থী
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা