রাষ্ট্রীয় মানুষের বিশেষ পোশাক
বন্দুক এড়িয়ে যেই পাখিগুলো
উড়ে যায়
বিকেলের
আবির ছড়ানো দ্যুতিতে
বয়সি বৃক্ষের আগায় ;
আকাশে–মাটিতে–জলে
লেগে আছে দাগ! রক্তের!
রক্তের রঙ নিয়ে কাটে না সন্দেহ
মানুষের রক্তের দাগ শুধুই
লাল থাকতে পারে না!
শুকিয়ে গিয়ে কালচে হতে হতে
পুরোপুরি অন্ধকার যেন
জ্বলে ওঠে!
রাতের পেঁচা যেমন খুঁজে পায়
তার কাঙ্ক্ষিত ইঁদুর,
রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রবিরোধিতার দ্বান্দ্বিক ক্ষুধায়
রক্তাক্ত পথ আর অধিকারবঞ্চিত
জনতার মিছিলও তেমন খাদ্য হয়
সময়ের পেটে বেড়ে ওঠা অবাঞ্চিত শুয়োরের।
মাতৃঘাতী প্ররোচনায় অভিশপ্ত পরশুরাম
হয়ে ওঠার চাপানো গৌরব
নিয়ে নন্দিত বীরপুঙ্গবদের স্লোগান
রেকর্ডারের মতো বাজে! কারা বাজায়!
কারা উপাসনার মতো করে
আগুন লাগিয়ে দেয় মায়ের শাড়িতে? কারা?
কেনা–বেচার বা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার
মতো কিছু মৌসুমি কমরেড বা সাথীদের
সংশয়ের দোলাচালও কানে বাজে
কানে ভাসে পতিতের অটহাস্য
কারা যেন নিরুর মতো বাজায় বাঁশি
রোম পুড়ে ছাই হয়ে যায়
হঠকারী মিছিলের আড়ালে চাপা পড়া
আমলা, কেরাণী, পিয়ন, পুলিশ, আর্মির নামে
প্রচারিত ও প্রচলিত সব শীর্ষ খবর কানে বাজে
শত কোটি হাজার কোটি….
রাষ্ট্রীয় কোষাগার রক্ত কিংবা
আগুনে কি ঘাটতি মেটাতে পারে?
মানুষের ঘাটতি দেখে
কারা পরছে ‘রাষ্ট্রীয় মানুষের’ বিশেষ পোশাক?
এই কুসুমের দেশে
এই কুসুমের দেশে এত কাঁটা কেন?
এত কেন সিসিফাস–পাথরের স্তুপ?
এই কুসুমের দেশে আমি কার কাছে যাই
পাই হৃদয়ের মাটিরঙ, উত্তীর্ণ স্বরূপ?
ঘুমমাখা কারে ডাকি আমি
এই ফুলভোরে সাজি হাতে?
সেও তো গিয়েছে মরে কবে
স্বপ্নের নিস্ফলা কোনও এক রাতে।
এই কুসুমের দেশে তুমি
কারে ডাকো অনায়াসে মালী!
কার কাছে নিয়ে যাও সখি
পুরাণের বিপন্ন করতালি!
এই কুসুমের দেশে দেখি
এত শোক, এত পোড়া!
শান্তির সংগীত গায় তবু
ট্রয়ের পুত্তলি ঘোড়া!