নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকা অবমানতার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ডা. কথক দাশের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন সরকার হাসান শাহরিয়ার তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টাকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ডা. কথক দাশকে আটক করে এবং নগরীর নিউমার্কেট থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে নিউমার্কেট থানা পুলিশ বিমান বন্দর থেকে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে এবং আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর মো. ফিরোজ খান নামের এক ব্যক্তি নগরীর কোতোয়ালী থানায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত, নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী, গোপাল দাশ টিপু, ডা. কথক দাশ, প্রকৌশলী অমিত ধর, রনি দাশ, রাজীব দাশ, কৃষ্ণ কুমার দত্ত, জিকু চৌধুরী, নিউটন দে ববি, তুষার চক্রবর্তী রাজীব, মিথুন দে, রুপন ধর, রিমন দত্ত, সুকান্ত দাশ, বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস। মামলার এজহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। এরপর গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি মোড়ে সমাবেশের দিন ওই পতাকার উপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার হয় চিন্ময় দাশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রামে আদালতে তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেয়। তখন থেকে চিন্ময় দাশ চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আছেন।