রাশিয়া নয়, ভারতের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা : ট্রাম্পের উপদেষ্টা

| বুধবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠককে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তিনি বলেন, শি জিনপিং এবং পুতিনের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠতা দেখা লজ্জাজনক। খবর বিডিনিউজের।

জানি না তিনি (মোদী) কী ভাবছেন। আশা করি, তিনি বুঝবেন যে তার রাশিয়ার সঙ্গে নয় বরং আমাদের সঙ্গে থাকা দরকার। মোদীর এসসিও সম্মেলনে যোগ দেওয়া এবং পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একদিন পরই নাভারো এই মন্তব্য করলেন।

শুল্কের মহারাজা : ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করার পর থেকে দেশটির রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কড়া সমালোচনা করছেন নাভারো। তার অভিযোগ, ভারত যে অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে কিনছে, সেই অর্থ দিয়ে ইউক্রেইনে যুদ্ধ চালাচ্ছে পুতিন। এর আগে নাভারো ভারতকে আখ্যা দিয়েছিলেন শুল্কের মহারাজা হিসেবে। তার দাবি, বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের আরোপিত শুল্ক সবচেয়ে বেশি এবং দেশটি সেটি স্বীকার করতে নারাজ। ভারতের সঙ্গে দুটি সমস্যা আছে২৫ শতাংশ পারষ্পরিক শুল্ক হল অন্যায্য বাণিজ্যের কারণে। আর বাকি ২৫ শতাংশ শুল্ক হল রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে,” বলেন নাভারো।

ব্রাহ্মণদের মুনাফা অভিযোগ : নাভারো আরও অভিযোগ করেন, রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনে ভারতীয় শোধনাগারগুলো তা প্রক্রিয়াজাত করে বেশি দামে রপ্তানি করছে। এতে লাভবান হচ্ছে ভারতের উচ্চবর্ণ ব্রাহ্মণ শ্রেণি, যা তিনি দাবি করেন সাধারণ ভারতীয়দের ক্ষতি করে ব্রাহ্মণরা এই মুনাফা করছে। নাভারোর কথায়, ভারত ক্রেমলিনের জন্য লন্ড্রি ছাড়া আর কিছুই নয়ৃ ভারতীয় জনগণের খরচে ব্রাহ্মণদের মুনাফা অর্জন করতে সাহায্য করছে তারা। নাভারোর অভিযোগ, ভারতীয় শোধনাগারগুলো রুশ তেল সস্তায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বাড়তি দামে বিদেশে রপ্তানি করছে। এতে ইউক্রেনীয়রা মরছে, আর আমাদের করদাতাদের আরও টাকা দিতে হচ্ছে।

ভারতের অবস্থান : ভারত অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, দেশটির অভ্যন্তরীন বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা জরুরি। দিল্লি ওয়াশিংটনের শুল্কনীতিকে অন্যায্য বলেও সমালোচনা করেছে। ২০২২ সালের আগে রাশিয়া ভারতের বড় জ্বালানি রপ্তানিকারক ছিল না। তবে ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলো যখন রুশ তেলের ওপর ৬০ ডলারের মূল্যসীমা আরোপ করে, তখন থেকেই রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কেনার সুযোগ পায় ভারত। মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, এই ব্যবস্থার ফাঁক দিয়েই ভারত ছাড়কৃত দামে রুশ তেল কিনতে পেরেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৪ বছর পর প্রথম অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করল সিরিয়া
পরবর্তী নিবন্ধট্রেনে সীমান্ত পেরিয়ে চীনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন