রাশিয়া নয়, পোল্যান্ডে পড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের!

| বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ায় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রে পোল্যান্ডের ২ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এল নতুন তথ্য। এ বার জানা গেল রাশিয়া নয়, ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রেই প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখতে গিয়ে আর একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বুধবার ওই ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পূর্ব পোল্যান্ডের একটি গ্রামে। এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক চাপান-উতোর তীব্র হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আঁন্দ্রে ডুডা ওই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার নিক্ষেপ করা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। রাশিয়ায় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র কেন এবং কী ভাবে তাদের দেশে গিয়ে পড়ল, তার দ্রুত কার্যকারণ এবং ব্যাখ্যা চেয়ে ওয়ারশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে খবর পাঠানো হয়। এর পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
রাশিয়া জানায়, পোল্যান্ডে পড়া ক্ষেপণাস্ত্র কোনও ভাবেই তাদের নয়। উল্টে উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পোল্যান্ডকে দায়ী করে পুতিনের দেশ। জি-২০ বৈঠকের মাঝে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ন্যাটো-সঙ্গী দেশ পোল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই হামলা রাশিয়ার না-ও হতে পারে।’ বাইডেন বলেন, ‘ঠিক কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে আমরা পোলান্ডের পাশে আছি।’ তার পরেই তার সংযুক্তি, ‘পশ্চিম ইউক্রেনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। প্রথম থেকেই আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি। প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব।’
অন্য দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোলান্ডে নিহত দুই নাগরিকের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে নতুন এই তথ্য সামনে আসার পর তার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিকে পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পোল্যান্ডের ঘটনায় বাইডেন সংযম দেখিয়েছেন। প্রথম কথায় বাইডেন বলেছেন, প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাশিয়া থেকে মিসাইলটি ছোড়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, কী ঘটেছে, সেই ঘটনার বিষয়ে কোনো ধারণা ছাড়াই কয়েকটি দেশ রাশিয়াকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছে। আমরা আরও একটি রুশোফোবিক উন্মাদ প্রতিক্রিয়ার সাক্ষী হলাম, যারা কোনো সত্যিকারের উপাত্তই নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআকাশপেরোনো প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে চাঁদের পথে আর্টেমিস
পরবর্তী নিবন্ধখাবারের সন্ধানে অজগরটি এসেছিল লোকালয়ে