রাশিয়ার তেল বাংলাদেশে পরিশোধন উপযোগী নয় : প্রতিমন্ত্রী

| বুধবার , ১ জুন, ২০২২ at ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ

 

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিলেও ওই তেল বাংলাদেশের রিফাইনারিতে পরিশোধনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে তেল কেনার অফার পাচ্ছি। কিন্তু সেই তেলটা আমাদের উপযোগী কিনা সেটা চিন্তা করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।

ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগানোর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রাশিয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে বলে গত ২৩ মে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। আর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার খড়গ পাশ কাটিয়ে রাশিয়া থেকে কীভাবে জ্বালানি ও গম আমদানি করা যায়, সেই কৌশল ভারতের কাছ থেকে শিখতে চাওয়ার কথা গত সোমবার জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর জ্বালানি প্রতিবেদকদের সংগঠন এফইআরবির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, আমরা সারটেইন দেশ থেকে ক্রুডের যে অফার পেয়েছি, আমরা দেখেছি সেইটা আমাদের রিফাইনারির জন্য ম্যাচ করে না। আমরা অ্যারাবিয়ান মারবান ব্যবহার করি। এটা আলাদা স্পেসিফিকেশনের।

বাংলাদেশ মূলত অপরিশোধিত তেল কেনে সৌদি আরবের সৌদি অ্যারামকো এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি থেকে। আর পরিশোধিত তেল সরবরাহ করে কুয়েত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের আটটি কোম্পানি। এর মধ্যে চীনের কোম্পানি দুটি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ৩০ লাখ ৬৩ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। এ সময় অপরিশোধিত তেল এসেছে ৮ লাখ ৭০ হাজার টন।

অপরিধোধিত তেলের ঘনত্বের মাত্রা বোঝানো হয় এপিআই (আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট) গ্র্যাভিটি দিয়ে। এপিআই গ্র্যাভিটি যত বেশি হবে, ওই তেল তত হালকা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে স্বাগত মহানগর যুবদলের আনন্দ মিছিল
পরবর্তী নিবন্ধএভারকেয়ারের বিশেষ ছাড়ে সেবা পাবেন ইয়াংওয়ানের কর্মীরা