রাশিয়ার তেলের পশ্চিমাদের ‘বেঁধে দেয়া দাম’ কার্যকর শুরু

| মঙ্গলবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার একটি তেলবাহী ট্যাংকার দেশটির একটি সমুদ্র বন্দরে নোঙর করে আছে। সমুদ্র পথে রপ্তানি করা রাশিয়ার তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার জি৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে দুর্বল করে ইউক্রেইন যুদ্ধে মস্কোর অর্থের যোগান কমাতে চাইছে। এদিকে রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমাদের বেঁধে দেয়া তেলের দাম ‘মানবে না’ তারা আর এর জন্য উৎপাদন কমাতে হলে তাই করবে। খবর বিডিনিউজের।

ইইউয়ের সর্বসম্মতিতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির সাত দেশের সংগঠন জি৭ ও অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার সমুদ্র পথে রপ্তানি করা রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারী দেশ। রোববার রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্দার নোভাক বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর এই পদক্ষেপ স্থূল হস্তক্ষেপ এবং অবাধ বাণিজ্য নীতির বিরোধী।

‘কী মাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা অগ্রাহ্য করে তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার এ পদক্ষেপে বাধা দেওয়ার পন্থা নির্ধারণে কাজ করছি আমরা। এ ধরনের হস্তক্ষেপ ফের বাজারকে অস্থিতিশীল করবে,’ বলেছেন রাশিয়ার তেল, গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি ও কয়লা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী নোভাক।

তিনি বলেন, আমরা সেই দেশগুলোর কাছেই তেল ও পেট্রলিয়াম পণ্য বিক্রি করবো যারা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে কাজ করবে, এতে আমাদের উৎপাদন যদি কিছুটা কমাতে হয় কমাবো। জি৭ এর চুক্তিতে রাশিয়ার তেল জি৭ ও ইইউয়ের ট্যাংকার, ইন্সুরেন্স কোম্পানি ও ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে ওই তেল অবশ্যই বেঁধে দেওয়া মূল্য প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলার বা এর কমে কিনতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেন সঙ্কট : আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত কি মিলছে