ইরান প্রথমবারের মত রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেছে। তবে বলেছে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মস্কোকে ড্রোন পাঠিয়েছিল। সমপ্রতি রাশিয়া বিশেষ করে ইউক্রেনের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেসামরিক অবকাঠামোতে ব্যাপক হারে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মস্কোকে ওইসব ড্রোনের যোগান দিচ্ছে ইরান। তেহরান এবং মস্কো এতদিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। কিন্তু শনিবার প্রথমবারের মত ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কথা স্বীকার করে নেয়। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে দোষী সাব্যস্ত খুনি এবং মাদক পাচারকারীদের মতো জেল খাটা দাগি অপরাধীদেরকেও এবার ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর পথে হাঁটছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এজন্য আইন সংশোধন করেছেন তিনি। মারাত্মক সব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সদ্য জেলখেটে বের হওয়া আসামিদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পুতিন রিজার্ভ সেনা (আপৎকালীন মজুত সেনা) তলব করার আইনে সংশোধনী এনেছেন। তবে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নকারী কিংবা সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত সাবেক কারাবন্দীদের আওতায় রাখা হচ্ছে না।
ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর জন্য গত সেপ্টেম্বরে আংশিক রিজার্ভ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। প্রায় ৩ লাখ সেনাকে ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করা হাজার হাজার রুশ নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেপ্টেম্বরেই খবর বেরিয়েছিল যে, রাশিয়ার আধা সামরিক সংগঠন ওয়াগনার ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর জন্য কারাবন্দিদের দলে ভেড়াচ্ছে। যুদ্ধে যাওয়ার বিনিময়ে তাদের সাজা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়ার আইন অনুযায়ী, বিদেশে মোতায়েন সেনাদলের সঙ্গে কাজ করার বিনিময়ে কারাবন্দীদের সাজা কমানোর সুযোগ নেই। কিন্তু ওয়াগনারের প্রধান কর্মকর্তা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কারাবন্দীদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানে তারা কাজ করলে তাদেরকে আর জেলে ফিরতে হবে না।