কক্সবাজারের রামু থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি, গান পাউডারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার আবছারের দেহরক্ষী মনসুরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
১৫ মার্চ রাত আড়াইটায় গর্জনিয়ার ঘোনার পাড়ায় এই অভিযান চালানো হয়।
আজ শনিবার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসা ও ভাড়া দেওয়ার কাজে যুক্ত রয়েছে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার আবছার।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা দল অনুসন্ধান শুরু করে। র্যাবের কাছে খবর আসে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার মোঃ নুরুল আবছারের বসতঘরে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ অবস্থান করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সুচতুর ডাকাত আবছার পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার দেহরক্ষী মনছুর আলম (২০) কে আটক করা হয়। সে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকার আব্দুল খালেকের পুত্র।
পরে মনছুরের দেহ তল্লাশি করে ১টি এলজি এবং পলাতক ডাকাত আবছারের বসত ঘর তল্লাশী করে ৬টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২০০ গ্রাম গান পাউডার ও অস্ত্র বিক্রয়ের ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মনছুর আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ও অস্ত্র ব্যবসায়ী নুরুল আবছার ওরফে ডাকাত আবছারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে বলে স্বীকার করে। তারা পরস্পরের সহযোগীতায় বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। যা নিজেদের ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহারসহ দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার শহর এবং শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র-গোলাবারুদ বিক্রি করে জানায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ আটক মনছুর আলম এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে রামু থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
