কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবা লুটের একটি অভিযোগ নিয়ে বিএনপি অঙ্গনে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে। অভিযোগ উঠে, গত ২৪ জুন ৩০ হাজারের একটি ইয়াবা চালান লুট হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই ইয়াবা চালান লুটের অভিযোগ উঠে। গত ২৭ জুন এই সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হলে ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ব্যাপক সমালোচনা মুখে এই ঘটনার তদন্তে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএনপি। এই তদন্ত চলমান অবস্থায় এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানা উল্লাহ সেলিম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সেলিম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, রামু উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সমপ্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা আমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।’ এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাজারকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দানু মিয়া এবং ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল কবিরের পদ স্থগিত করা হয়েছে। রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাবু গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন।
এর আগে, ৩০ হাজার ইয়াবা লুটের ঘটনা তদন্তে গত ২৮ জুন উপজেলা বিএনপি একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার প্রধান করা হয় সাবেক উপজেলা বিএনপির সহ–সভাপতি গোলাম কবির সওদাগরকে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও দিতে পারেননি। এর মধ্যে পাঁচ দিন পর প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত সানাউল্লাহ সেলিম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নিজ ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার অশোভন আচরণ ও ইয়াবা কেলেঙ্কারি জাতীয়তাবাদী পরিবারকে ব্যথিত করেছে।’ তদন্ত কমিটির সদস্য ফয়সাল কাদের জানান, সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব।