কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার হিমঝড়িতে ঝাউগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রামু থানা পুলিশ।
জানা গেছে, যুবকের নাম মো. রফিক (৩৯)। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পিতার নাম আমির হামজা, মাতার নাম নুর বাহার। ঠিকানা কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর আব্বাস কন্ট্রাক্টর বাড়ি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রামু থানাধীন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে মেরিন ড্রাইভ দরিয়া নগর এলাকায় ঝাউগাছে রশির সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্থানীয়রা সকালে ঝাউগাছে ঝুলন্ত লাশ দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা স্পটে গিয়ে সিআইডির বিশেষায়িত ক্রাইম টিমকে খবর দিই। পরে তাঁরা এসে লাশের সমস্ত প্রসেসিং শেষ করে সুরতহাল রিপোর্টে তৈরি করি। পরে লাশটি কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হিমেল আরো বলেন, লাশের পকেটে জাতীয় পরিচয় মিললেও কোন মোবাইল পাওয়া যায়নি। তবে একটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে তাও বন্ধ রয়েছে। লাশের পরনে ছিলো পুল প্যান্ট ও শার্ট, পায়ে সু। তবে কেউ লাশ শনাক্ত করতে পারলে রামু থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি। যদিও লাশের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কর্ণফুলী থানার পুলিশও কোন তথ্য জানাতে পারেনি।
তবে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর আব্বাস কন্ট্রাক্টর বাড়ির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দিন জানান, ‘লাশের ছবি দেখে মনে হচ্ছে সে খোয়াজনগরের স্থানীয় কেউ না। সম্ভবত চাকরির সূত্রে যুবকটি কর্ণফুলীতে ভাড়া বাসায় ছিলেন। তখন হয়তো ভোটার হয়েছিলেন খোয়াজনগর আব্বাস কন্ট্রাক্টর বাড়ির ঠিকানা দিয়ে। পরে এখান থেকে চলে গেছে। এ জন্য কেউ তাঁকে চিনতে পারছে না।’ পরে আইটি প্রযুক্তির সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে লাশের আইডি কার্ড থেকে স্থানীয় ঠিকানা বের করে সিআইডি জানতে পারেন যুবকের স্থায়ী ঠিকানা মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী আহমদিয়া কাটা গ্রামের শহিদুল্লাহর বাড়ি। বিষয়টি মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী নিশ্চিত করেছেন।