কক্সবাজারে রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘অস্ত্র তৈরির কারখানার’ সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলা পাইন্ন্যাসা গহীন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব–১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। আটক আনোয়ার হোসেন (৩৫) রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকার মুছা আলীর ছেলে।
এসময় কারখানাটিতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি দুইটি বন্দুক, ৬০টি গুলি, গুলির খোসা, ১৫টি শিসাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, আটক আনোয়ার হোসেন অস্ত্র তৈরি ও কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। মূলত সে কারখানায় তৈরি অস্ত্র সরবরাহ এবং বেচাকেনার সাথে জড়িত।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলা পাইন্ন্যাসা গহীন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার খবর পাওয়া যায়। র্যাবের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ৩/৪ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করা হয়।
পরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তাঁবু টাঙানো অবস্থায় র্যাব সদস্যরা একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পান। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আটক আনোয়ার হোসেন সংঘবদ্ধ অস্ত্র তৈরি চক্রের তিন সদস্যের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে। চক্রটির সদস্যরা ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি তৈরি করে আসছিল। অস্ত্রগুলো কক্সবাজার শহর এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকার অপরাধী চক্রের কাছে সরবরাহ করে আসছিল। চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।