রামুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজস্ব আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ, ভুয়া বিল বানিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়, টাকা আদায় করে রশিদ না দেয়া এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জিম্মিসহ নানা অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসব অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে গতকাল রোববার উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন রামু ও পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির অসংখ্য ভুক্তভোগী গ্রাহক।
শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস ঘেরাও এবং অভিযুক্ত প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করেন গ্রাহকরা।
রামুর গর্জনিয়া বাজারের বিদ্যুৎ গ্রাহক ফরিদুল আলম জানান, ‘বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে তার বিদ্যুৎ সংযোগটি দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিল। আর্থিক অনটনের কারণে তিনি কিস্তি কিস্তি করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন। বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকার পরিমাণ কমে আসলে ২০২৩ সালের ১ জুলাই তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করেন। মিটার চালুর ১ সপ্তাহ পর রামু বিদ্যুৎ অফিসের একটি দল বিদ্যুৎ সংযোগটি মিটারের রিডিং দেখা যায় না বলে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরদিন তিনি আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি উল্টো বিদ্যুৎ চুরির ভয় দেখিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেন। কিন্তু তিনি আর্থিকভাবে সংকটাপন্ন বলে জানালে আবাসিক প্রকৌশলী তাকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু টাকা নিয়ে রশিদ দেননি। গ্রাহক নুরুল হাকিম, আনোয়ার হোসেন, জয়নাব বেগম ও আনোয়ারা বেগম জানান, বিগত ২০২১ ও ২০২২ সালে তাদের সরকারি বিদ্যুৎ বিলের কপি না দেয়ায় তারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেননি। এ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও তারা কোনো সুফল পাননি।