রামুতে চার স্কুলছাত্রকে অপহরণ অভিযোগ দুই রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে

তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি ।। ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

উখিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের রামু থেকে রোহিঙ্গা কর্তৃক অপহৃত ৪ স্কুলছাত্র তিনদিনেও উদ্ধার হয়নি। অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলেও তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে অপহৃত স্কুল ছাত্রদের পরিবারের মাঝে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা বেড়ে চলেছে। অপহৃতরা হলেন রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মাঙ্গালা পাড়ার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। চারজনই এবার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। পরীক্ষা শেষে তারা সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়েই রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় উক্ত ৪ স্কুলছাত্রের। সেই সুবাদে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা নাগরিক। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই ৪ জনের খোঁজ মিলছে না। গত বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে অপরিচিত বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রামু থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, অপহরণের ঘটনায় রামু থানায় একটি জিডি করেছে ভিকটিমের পরিবার। তবে ঘটনাস্থল টেকনাফ হওয়ায় বিষয়টি টেকনাফ থানায় অবহিত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬নং ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত ছিল বলে জানা গেছে। টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, রামুর ৪ স্কুল ছাত্র অপহরণের ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। এছাড়া অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানও চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিনদিন পর মিলল শিশু কামালের মরদেহ
পরবর্তী নিবন্ধমিত্রবাহিনী ঢাকা বেতার কেন্দ্র স্তব্ধ করে দেয়