রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় আব্দুল গফুর (৪৫) নামে এক কসাইয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশী হামিদ হোসেনের বাড়ির পেছনের উঠান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে রামু থানা পুলিশ। নিহত আব্দুল গফুর তুলাতলী গ্রামের মৃত জালাল আহমদের ছেলে। তিনি গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে কসাইয়ের কাজ করতেন।
নিহতের বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন জানান, তার বাবা অনেক রাত করে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরতেন। তার আগেই পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়তো। ফলে তিনি কখন বাড়ি ফিরেন, তা পরিবারের লোকজন জানতো না। গত শুক্রবার রাতেও তিনি কখন ফিরেছেন বা আদৌ ফিরেছিলেন কি না, তা পরিবারের সদস্যরা জানে না। শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠার আগেই প্রতিবেশীর ডাকে ঘুম ভাঙে। এরপর প্রতিবেশী হামিদ হোসেনের বাড়ির উঠানে তার পিতা আবদুল গফুরের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল করার সময় নিহতের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত ছিলো, তবে শরীরের অন্য কোথাও দৃশ্যমান কোনো আঘাত ছিলো না।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আবদুল গফুর গরু কিনে জবাই করে বাজারে বিক্রি করতেন। এ কারণে তার সাথে মোটা অংকের টাকা থাকতো। অন্যদিকে এলাকার কয়েকজনের সাথে নানা কারণে তার পূর্বশত্রুতাও তৈরি হয়। টাকা লুট অথবা পূর্বশত্রুতা; যে কোন কারণে আবদুল গফুরকে হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ তার পরিবার সদস্যদের।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শকে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।