রামুতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধনে হামলা, আহত ২০

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ সাড়ে ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার রামুর রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এই মানববন্ধন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা করার অভিযোগ উঠে। এসময় প্রায় ২০ জন আহত হয়। এর মধ্যে মুমুর্ষু অবস্থায় ৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রাম কক্সবাজার সহাসড়ক অবরোধ করলে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সাড়ে ৪ ঘণ্টার অবরোধে রামু ফুটবল চত্বর থেকে ঈদগাঁও পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা।

বিকালে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা পরিষদে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে জনতা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

হামলায় আহত রশিদনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চেয়ারম্যান শাহ আলমের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রবিবার সকালে রশিদনগর বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। ওই সমাবেশে অংশ নেয়া বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। এরই জেরে সোমবার সকাল ১১টার দিকে দুই শতাধিক ভাড়াটে লোকজন পরিকল্পিতভাবে মানববন্ধনে অংশ নেয়া লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৮ জনকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, রশিদনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন (৪২), ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দিদারুল আলম (৩৫), বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি জামায়াত নেতা মাওলানা শফিকুর রহমান (৪৫), বিএনপি নেতা ছাবের আহমদ (৫০), জাফর আলম (৪৫), জানে আলম (৬০) ও তানজিল এনাম (৩৫)। আহত অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। তারাই আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের উপর হামলায় আমার কেউ জড়িত নেই। এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য গতকাল সোমবার রাতে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপড়া বলতে দেরি করায় শিক্ষকের চড়,হাসপাতালে যেতে হলো শিক্ষার্থীকে
পরবর্তী নিবন্ধসিগন্যাল না মেনে প্রবেশ কালুরঘাট সেতুতে বাইক-ট্রেন মুখোমুখি