চলতি মার্চ মাসেই খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয় জর্জ। রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন করে ড. বিনয় বলেন, ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট প্রস্তুতি শেষের দিকে; এটি শীঘ্রই উদ্বোধন হবে। তখন দুই দেশের যাত্রীরা মৈত্রী সেতু হয়ে পারাপারের সুযোগ পাবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ির রামগড় পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, বাংলাদেল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দরে প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম, নৌ–পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তাধর ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন প্রমুখ। পরে ড. বিনয় রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের অফিস কক্ষে মতবিনিময় সভা করেন। সভা শেষে ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ও বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি শেলনী সাই ও ফটিক ডি নাগও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দরে প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের দিক থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শতভাগ প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১৪ নভেম্বর রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি উদ্বোধন করেছেন। ভারতের দিক থেকে আগামী ৯ মার্চ ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্বোধনের সম্ভাবতা কথা জানিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার। তারপর থেকে মৈত্রী সেতু হয়ে যাত্রীরা যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। এছাড়া বন্দরের সকল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ শেষ হলেই পরিবহনসহ সব সুযোগ–সুবিধা চালু হবে বলে জানান তিনি।