বাংলাদেশের লাভ কতটুকু হবে তা নির্ণয়ের পর রামগড় স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমিটির মাধ্যমে লাভ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে। আগামী দুই–তিন দিনে মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হবে। তারা রামগড়ে পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণে এসে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লাভ–ক্ষতি খতিয়ে দেখবে। গতকাল রোববার খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে নৌ পরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশেষ করে রামগড় স্থল বন্দর চালু হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হবে কি হবে না, লোকজন কত যাবে, রাজস্ব আয় কি পরিমাণ হবে ইত্যাদি দেখে কমিটি তাদের মতামত জানাবে। তাদের এ মতামতের উপর ভিত্তি করে রামগড় স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে রামগড় স্থল বন্দরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মালামাল ভারতে নিয়ে যাওয়া। এ জন্য তারা সাব্রুমে রেলপথও স্থাপন করেছে। এ রেলের মাধ্যমে পণ্যের কন্টেইনার বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এতে বাংলাদেশের কী লাভ হবে, তা দেখতে হবে। এটা এসেসমেন্ট করার জন্য ২–৩ দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করবো। কমিটি দেখার আগে তাই আমি সরেজমিনে দেখে গেলাম। রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। এতে ভারতের লোন আছে, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের টাকা আছে।
রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, যতগুলো বন্দর পরিদর্শন করেছি, তারমধ্যে রামগড় বন্দরের কাজ খুবই দ্রুতগতিতে হয়েছে। ছয় মাস– এক বছরের মধ্যে অনেক কাজই করা হয়ে গেছে। রামগড় স্থলবন্দর, তথা মৈত্রীসেতু বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন। আমি এখন আর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পদে নেই।
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন রামগড় স্থলবন্দরে এসে প্রথমেই ফেনী নদীর ওপর ভারতের নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন। তিনি সেতুর মধ্যবর্তী শূন্য রেখা পর্যন্ত যান। পরে স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শন শেষে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
এসময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সরওয়ার আলম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, বিজিবির গুইমারার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম আবুল এহসান, রামগড়ের ইউএনও মমতা আফরিনসহ বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।