বহুল প্রত্যাশিত খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন। এটি দেশের ১৫তম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর।
রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. সরওয়ার আলম গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রামগড় স্থলবন্দরের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন হলেও বন্দরের কার্যক্রম এখনও চালু করা যাবে না। রামগড় ইমিগ্রেশন বিভাগ লোক পরাপার কার্যক্রম চালু করতে পুরোপুরি প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওপারে সাব্রুম ইমিগ্রেশন প্রস্তুত হতে হয় ১ থেকে ২ মাস লাগতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সীমান্ত জটিলতার যে সমস্যা ছিল, ইতোমধ্যে সেটি সমাধান হয়ে গেছে। স্থলবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। ডিসেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সমপ্রসারণের লক্ষ্যে রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনা–নেওয়ার কাজ চলবে। স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী সেতু–১ নামে একটি আন্তর্জাতিকমানের সেতু নিমার্ণ করেছে ভারত। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন ও বিজিবি চেক স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কিছু লোকবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত বারৈয়ারহাট–হেঁয়াকো–রামগড় সড়কে ইতোমধ্যে জাইকার তত্ত্বাবধানে ৮টি ব্রিজ ও ৮টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় রামগড়ের ফেনীরকূল এলাকায় প্রধান সড়কে রোড লোড স্কেল প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১১০৭ কোটি টাকার বারৈয়ারহাট–হেঁয়াকো– রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে।