রাবিতে উত্তেজনা, মধ্যরাতে হল থেকে বেরিয়ে ছাত্রীরাও আন্দোলনে

পোষ্য কোটা

| রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতেই কয়েক হাজার ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার পর থেকেই হলগুলো থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে জুবেরী ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে থাকেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার পর একযোগে কয়েক হাজার ছাত্রী হল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। আন্দোলনকারীরা দুটি দাবিতে সেখানে স্লোগান দেন। তারা পোষ্য কোটার প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং ২৫ সেপ্টেম্বরেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। খবর বিডিনিউজের।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের লক্ষ্য ছিলো বৈষম্য দূর করা, আমরা সেটি আদায় করতে পেরেছিলাম। কিন্তু আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসে আবারও পোষ্য কোটা নামে আরেকটি বৈষম্য আমাদের সামনে এসেছে, চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বৈষম্য আর অযৌক্তিক সুবিধার বিরুদ্ধেই আজ আমরা একত্রিত হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

জানা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ পোষ্য কোটা পুনর্বহাল না করা হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে ভর্তি কমিটির সভায় ২০২৪২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় এই আন্দোলন চলছে।

এর মধ্যে গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এরপর থেকে জুবেরী ভবনে উপউপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসুদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটকে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

তবে রাত সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, জুবেরী ভবনে আন্দোলনকারীরা আর নেই। সবাই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে চলে গেছেন। অবরুদ্ধ থাকা প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসুদও বেরিয়ে গেছেন। তবে উপউপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিনকে সেখানে একটি কক্ষে বসে থাকতে দেখা গেছে। উপউপাচার্য ও প্রক্টরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককর্মকর্তাকর্মচারীদের একটা অংশ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনতে ৮ পরামর্শ যুক্তরাষ্ট্রের
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন নভেম্বরে