সত্তর বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করে আসা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। ৯৬ বছর বয়সে গতকাল বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে। রানি গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামে ছিলেন এবং গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটেছে। তার অসুস্থতার খবরে এদিন সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা।
বিডিনিউজের খবর থেকে জানা যায়, প্রায় একবছর ধরেই রানির স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছিল না। তার চলাফেরায় সমস্যা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে। অসুস্থতার কারণে গত শরৎ থেকে তিনি বহু অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। রানির পক্ষ থেকে তার ছেলে প্রিন্স চার্লস ওইসব দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বিভিন্ন স্মরণ দিবস, বার্ষিক কমনওয়েলথ সার্ভিস, এবং পার্লামেন্টের স্টেট ওপেনিংয়ের মতো এমন অনেক অনুষ্ঠানেই রানি গত ১২ মাসে অংশ নিতে পারেননি। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেতে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানির কাছে গিয়েছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশ রাজতন্ত্র রীতির ব্যতিক্রম।
বাকিংহাম প্রাসাদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন রানি। শুক্রবার তাঁর দেহ লন্ডনে নিয়ে আসা হবে।
আনন্দবাজারের খবর থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন তিনি। খবর পেয়েই ছুটে যান রাজ পরিবারের সদস্যরা। নেটমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস-সহ মন্ত্রী এবং সারা বিশ্বের রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতারা।
মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসার পর থেকে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি। সেই ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল তাঁর অসুস্থতা।