জয় দিয়ে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ শেষ করেছে কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাব। আর এ জয়ের ফলে ৯ খেলা শেষে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ রানার্স আপের সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখেছে তারা। গতকাল সোমবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নিজেদের শেষ খেলায় কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাব ১-০ গোলে অফিস দল কাস্টমস স্পোর্টস ক্লাবকে পরাজিত করে। কাস্টমস ৯ খেলা শেষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন এড়াতে পেরেছে। গতকাল কোয়ালিটি-কাস্টমস খেলার শুরু থেকেই দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফাউল করে খেলার প্রবনতা দেখা যায়। ফলে খেলা নিয়ন্ত্রনের জন্য রেফারী নাসির উদ্দিনকে অনেকবারই কার্ড ব্যবহার করতে হয়। এর জেরে একজন লাল কার্ড এবং বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন। মাঠে দু’দলকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলতে দেখা গেলেও কোয়ালিটিকে তাদের আগের নৈপুন্য প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি। যে আক্রমণগুলো তারা তৈরি করে তা থেকে গোল আদায় করতেও ব্যর্থ হয় তারা। প্রথমার্ধের খেলা ছিল গোলশূন্য। এ অর্ধের মাঝামাঝি সময়ে কোয়ালিটির জীবন মিয়া ডান প্রান্ত থেকে দারুন শট নেন। কাস্টমস কিপার সেভ করেন তা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও কোয়ালিটি বেশ কবার আক্রমনে উঠে। এ থেকে একবার মুবিনুর রশিদ আরেকবার দেলোয়ার হোসেনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ অর্ধের ২৮ মিনিটে কাস্টমসের রাকিব ফাউলের কারনে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন যা লাল কার্ডে পরিণত হলে তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়। ৩১ মিনিটে আক্রমণে উঠে কোয়ালিটি। সে আক্রমণ থেকে বল আয়ত্বে নেয় কাস্টমস কিপার মেহেদী। কিন্তু বল ধরে তিনি ঢুঁশ দেন কোয়ালিটির খেলোয়াড় শাকিল আলীকে। রেফারী নাসির পেনাল্টির বাঁশি বাজান কোয়ালিটির পক্ষে। এ নিয়ে মাঠে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রেফারীর দিকে তেড়ে যান কাস্টমস খেলোয়াড়রা। তারা মাঠ থেকে উঠে যেতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত তারা খেলায় ফিরে আসেন। পেনাল্টি শট নেন রোমান। তার শট জালে জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে কোয়ালিটি। এ গোলের পরেও কোয়ালিটি আক্রমন চালিয়ে যায়। এ থেকে একবার দেলোয়ারের শট কিপার ধরে নেন। অন্যবার রোমানের দারুন শট মাঠের বাইরে যায়। গতকালের খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের খেলোয়াড় রোমান। তার হাতে ক্রেস্ট ও নগদ এক হাজার টাকার প্রাইজমানি তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর মো. নূরুল আবছার। আজ বিকাল ৩ টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং শতদল পরস্পরের মোকাবেলা করবে। খেলাটি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।