বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। তবে আজ রাত ১২ টার পর থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কিন্তু সাধারণ জনগণ চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইনের পক্ষ বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলের নেতা কর্মীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। অপরদিকে নীরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোছাইনী। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন করে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় প্রচারণা চোখের পড়ার মতো। সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। গত নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের জলদী ভাদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, ৪নং ওয়ার্ডে পূর্ব জলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, ৭নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ জলদী আসকরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, ৯নং ওয়ার্ডে রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ প্রেক্ষিতে এবারও এসব ওয়ার্ডের কেন্দ্র গুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভোটার বলেন, আমরা যে হারে টেঙ দিই সে হারে কোন সেবা পায়নি। তার উপর বাড়িঘরের কোন উন্নয়ন কাজ করতে গেলে নানাভাবে নানা কায়দায় টেঙ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা জানিয়ে তারা বলেন, কিছু কাজ করলে তাও নিম্নমানের হওয়ায় কিছুদিন পর তাও ভেঙে পড়ে।
মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন (নৌকা) বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে সে মেয়র হবে। বর্তমান সরকার সর্বত্র সমবণ্টনের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করছে। সেই উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ নৌকায় ভোট দেবে তাতে কোন দ্বিধা নেই। অরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোছাইনী বলেন, বাঁশখালী পৌরসভা জনগণের আশা পূরণ করতে আমি প্রার্থী হয়েছি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে করার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্িনত করা হয়েছে। সে মোতাবেক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।