শেষ পর্যন্ত মেসির হাতেই বিশ্বকাপ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আবারও জয় আর্জেন্টিনার। এবারও জয়ের নায়ক আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিলো আর্জেন্টিনা। খেলায় শেষ বাঁশি বাজতেই প্রিয় দলের সমর্থনে মুহুর্মুহু স্লোগান, আতশবাজির শব্দ আর ভুভুজেলার কান ফাটানো আওয়াজে উন্মাতাল চট্টগ্রাম নগরী। রাতের নিস্তব্ধতার বুক চিরে আর্জেন্টিনার পতাকাসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কে পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের শোডাউন দেন সমর্থকরা। রাত ৯টার আগে থেকেই জার্সি গায়ে নগরীর জামালখান, বাটালী রোড, গোয়ালপাড়া, সিআরবিসহ বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায় আর্জেন্টিনা সমর্থকদের।
নিজ দেশের অংশগ্রহণ না থাকলেও বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে উচ্ছ্বাসের এতটুকু কমতি ছিল না চট্টগ্রামের ফুটবলপ্রেমীদের। ফাইনালের আগেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের বাংলাদেশি ভক্তদের উন্মাদনার খবর জায়গা করে নিয়েছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। আর গতকাল রোববার স্বপ্নের ফাইনালে জয়ের মাধ্যমে ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর মেসির হাতে উঠলো বহুল প্রতীক্ষিত ট্রফিটি। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উল্লাস তাই বাঁধনহারা। এলাকার বাসাবাড়ি ও ক্লাবে খেলা উপভোগ শেষে করা হয়েছে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছিল ফুটবলপ্রেমীদের দখলে।
আর্জেন্টিনা সমর্থকরা বলছেন, প্রথম ম্যাচ সৌদি আরবের কাছে হেরে আর্জেন্টিনা কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও বিশ্বাস ছিল মেসিরা সমর্থকদের হতাশ করবে না। আর সেটাই করে দেখিয়েছে টিম আর্জেন্টিনা। মেসির হাতেই উঠেছে সোনার ট্রফি।
আর্জেন্টিনা সমর্থক জমির উদ্দিন বলেন, আমরা আর্জেন্টিনা সমর্থকরা একবারের জন্যও আশা হারাইনি। আমাদের বিশ্বাস ছিল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ভালো কিছুই করবে। মেসি ও আর্জেন্টিনার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমাদেরও প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তবে এটাও বলতে হবে, ফ্রান্সও দারুণ খেলেছে। ফাইনাল ফাইনালের মতোই হয়েছে। দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো একটি ম্যাচ দেখলাম।
মোবারক নামে আরেক সমর্থক বলেন, ফাইনালে মেসি ম্যাজিকের পাশাপাশি এমবাপে দেখিয়েছে আগামীর বিশ্ব তারকা সে-ই। আরও একবার স্বপ্নের এত কাছে গিয়েও মেসি খালি হাতে ফিরলে সেটা অবিচার হতো। আমরা সমর্থকদেরও এই দৃশ্য দেখতে খুব খারাপ লাগতো।