রাজা-মন্ত্রীর খেলায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটা বড় এসপি-সাইফুলের জন্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৩ জুলাই, ২০২৪ at ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যে কয়টি ইভেন্ট সবচাইতে ধারাবাহিক তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজমন্ত্রীর লড়াই দাবা। সারা বছরই জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সরব থাকে দাবা। এইতো কদিন হলো দাবার প্রিমিয়ার এবং প্রথম বিভাগ লিগ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও সারা বছরই নানা টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। থাকে দাবার প্রশিক্ষণও। বলা যায় দাবাটাই সবচাইতে বেশি সরব। সে দাবা কমিটির নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। আগের সভাপতি এবং সম্পাদক কেউই নেই এবারের সভাপতি এবং সম্পাদক পদে। এবারে দাবা কমিটির নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারকে। বর্তমানে এই পদে আছেন এস এম শফিউল্যাহ। প্রথমবারের মত জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা কমিটির সভাপতি হলেন কোন পুলিশ সুপার। আর এই কমিটিতে সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাইফুল আলম খানকে। অবশ্য সাইফুল আলম খান নিজেকে একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত করেছেন। তারপরও যেহেতু দাবা কমিটিতে তিনি নতুন, সেহেতু এই ইভেন্ট পরিচালনায় কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন কিনা ? জবাবে তিনি বলেন আসলে এখানে বাধার সম্মুখীন হওয়ার কিছু নেই। এবারের কমিটিতে আগের কমিটির সবাই রয়েছেন। যারা বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দাবাটাকে পরিচালনা করে আসছেন। কাজেই সবাই মিলে আগের মতই আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারব।

দাবা যেহেতু একটি প্রতিশ্রুতিশীল ইভেন্ট। এই ইভেন্ট থেকে প্রতি বছরই কোন না কোন দক্ষ দাবাড়ু বেরিয়ে আসছে। আর দাবা এখন আর নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রতি শেষ হওয়া জেলা দাবা লিগের খেলা সমুহ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা পৃথিবী দেখেছে। দাবায় এখন প্রতিনিয়তই উন্নতি হচ্ছে। এটি এখন কেবলই নিচক রাজামন্ত্রী বা হাতিঘোড়ার লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন সবচাইতে আধুনিক একটি গেমসে পরিণত হয়েছে। তাই সাইফুল আলম খানদের জণ্য একটু চ্যালেঞ্জিং এই ইভেন্ট। তবে আত্মপ্রত্যয়ি সাইফুল আলম খান বলেন আশা করছি কোন কিছুই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সামনে বাধা হবেনা। তিনি বলেন আগের যেসব টুর্নামেন্ট বা লিগ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সে সবের পাশাপাশি আমরা নতুন কিছুও যোগ করার চেষ্টা করব। কারন চট্টগ্রামে যারা দাবা পরিচালনা করেন বা দাবার সাথে যুক্ত আছেন তারা সবাই আছেন এই কমিটিতে। আর সেটাই আমার সবচাইতে বড় ভরসার জায়গা। আগের সম্পাদক তনিমা পারভীন আছেন এই কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে। এছাড়া সহ সভাপতি হিসেবে আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন আলমগীর পারভেজ, নোমান আহমদ সিদ্দিকী, মহসিন জামান পাপ্পু, রকিবুল ইসলাম সাচ্চু। কমিটিতে চারজন যুগ্ম সম্পাদক রয়েছেন। তারা হলেন সাহেলা আবেদীণ রীমা, এস এম তারেক, আলী কায়সার এবং আবদুল মালেক। এখানে পরের তিনজন দীর্ঘ দিন ধরে দাবার সাথে যুক্ত। এছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন কামরুল হোসেন, সৈয়দ আবদুল আহাদ, কামরুল ইসলাম, টিংকু বড়ুয়া, আলি আবছার, মির্জা আরিফুর রহমান রনি, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। টিটু পাল, নুরুল আমিন এবং মাহবুবা রহমান শিপু।

কমিটিটাকে পরিপূর্ণ মনে করেন সম্পাদক সাইফুল আলম খান। এখন সবাইকে নিয়ে বসে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে আমাদের। তিনি বলেন বিশেষ করে স্কুল দাবাটাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারণ এখান থেকেই মূলত দাবাড়ু বেরিয়ে আসবে। আমরাও চেষ্টা করব স্কুল টুর্নামেন্টটি চালু রাখার জন্য। যেহেতু দাবা খেলাটা খেলতে হয় একটি নিরব, নিস্তব্দ পরিবেশে। তাই দাবাড়ুদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। যেখানে তারা সারা বছর অনুশীলন করতে পারে। কারন যেকোন খেলাধুলায় প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক নিয়মে দাবাটি পরিচালিত হয় তাই সে মান বজায় রাখতে হবে আমাদের। তবে চট্টগ্রামের দাবাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিজেদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবেনা বলে জানিয়েছেন সাইফুল আলম খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখন আর লম্বা সময়ের পরিকল্পনা নাই সাকিবের
পরবর্তী নিবন্ধহাথুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না বিসিবি