আগামীকাল শুক্রবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগ মুহূর্তে এসে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলো বর্তমান ও চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদি এবারের আসর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে গভর্নিং কমিটি রাজস্ব ভাগাভাগি না করে তাহলে আগামী আসর থেকে কুমিল্লা আর বিপিএলে অংশগ্রহণ করবে না জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক নাফিসা কামাল। তিনি জানিয়েছেন, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করা না হলে আগামী আসর থেকে কুমিল্লার পক্ষে বিপিএলে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। বিপিএলের বর্তমান কাঠামো অনুসারে, টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটস থেকে গভর্নিং কমিটি যে রাজস্ব আয় করে সেই অর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করে না সংস্থাটি। ২০২২ সালের আসরের আগে এনিয়ে আলোচনা হলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়েছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সাল থেকেই নাফিসা কামাল দাবি করে আসছেন টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটস থেকে গভর্নিং কমিটি যেই রাজস্ব আয় করে সেটি যেন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়। পরে এটি নিয়ে বৈঠক হলেও চার বছরেও এর কোনো সমাধান হয়নি। নাফিসা বলেন যদি আয় ভাগ না হয় তাহলে আমি বিপিএলে থাকব না । টিকিট রাইট্স, গ্রাউন্ড রাইটস এবং মিডিয়া রাইটস এ তিন রাজস্বের একটি অংশ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চায়। তিনি বলেন আমরা অনেক আগেই বিপিএল শুরু করেছি। কিন্তু এত বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে এখনও সমপ্রচারে পিছিয়ে আছি। আমাদের টিকিট বিক্রির ৫০ শতাংশ রাইটস থাকলে একটি টিকিটও অবিক্রীত থাকত না। বিসিবি আমাদের সেই রাইটস দেয়না। এমনকি মিডিয়া বা গ্রাউন্ড রাউটসও দেয় না।
তবে নাফিসা জানিয়েছেন যদি তাদের রাজস্বের সর্বনিম্ন একটি অংশও গভর্নিং কমিটি দেয়, তাহলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএল খেলতে রাজি আছে। আমরা রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়ে খুবই শিথিল হবো। তাদের জন্য যেটা ভালো হবে, সে সুযোগই আমরা দিতে চাই। যদি তারা আমাদের সর্বনিম্ন একটি পরিমাণও রাজস্ব দেয় তাহলেও সেটিও আমরা মেনে নেবো। তবুুও কাঠামো পরিবর্তনের কাজটি শুরু করতে দেন। আমাদের প্রথম ধাপের সিদ্ধান্ত নিতে দেন।