রাজশাহী-সিলেট দুই সিটিতেই নৌকার মেয়র

আজাদী অনলাইন | বুধবার , ২১ জুন, ২০২৩ at ৯:০৪ অপরাহ্ণ

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

আজ বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই নগরীর ১৫৫টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলে।

এরপর নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

রাত ৯টার দিকে সব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে তিনি ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী লিটনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

লিটন এনিয়ে ‍তৃতীয়বার মেয়র হতে যাচ্ছেন।

লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তার মধ্যে ইসলামী আন্দোলন পরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় তাদের প্রার্থীর নাম ব্যালটে থেকে যায়।

এছাড়া জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ১০ হাজার ২৭২ ভোট পেয়েছেন।

বড় ধরনের গোলযোগ না হলেও দুটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছিল।

রাজশাহীতে একজন মেয়র, ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর, ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে রাজশাহীতে ভোটের হার দাঁড়ায় ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

রাজশাহীতে ২০০৮ সালে ভোটের হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ। ২০১৩ এ সিটিতে ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।

অপরদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই নগরীর ১৯০টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলে।

এরপর নগরীর জালাবাদ গ্যাস ভবনের অডিটোরিয়াম স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।

রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি সব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

আনোয়ারুজ্জামান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী আটজন। তার মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়, যদিও তাদের প্রার্থীর নাম ব্যালটে থেকে যায়।

হাতপাখার পার্থী মাহমুদুল হাসান ১২,৭৯৪ ভোট পেয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শাহ জাহান মিয়া ২৯,৬৮৮ (বাস), মোশতাক আহমেদ রউফ ২,৯৫৯ (হরিণ), আব্দুল হানিফ কুটু ৪,২৯৬ (ঘোড়া) , জহিরুল ইসলাম ৩৪০৫ (গোলাপ ফুল), ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ২,৬৪৮ ভোট পেয়েছেন।

সিলেটে একজন মেয়র, ৪২ জন সাধারণ কাউন্সিলর, ১৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।

বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে এখানে ভোটের হার দাঁড়ায় ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সিলেটে ২০০৮ সালে ভোট পড়ার হার ছিল ৭৫ শতাংশ। ২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোট পড়ে ৬২ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ভোটের হার ছিল প্রায় ৬৩ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে অবৈধ ইটভাটাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা