রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই সিদ্ধান্ত : বিএনপি

| বৃহস্পতিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

সাবেক সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীরোত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল গতকাল বুধবার টেলিফোনে এই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাকে আমি মনে করি, সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে, তাদের আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তিনি বলেন, তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হল। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।
সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের কারণ দেখিয়ে জামুকা জিয়াউর রহমানের এই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের অপকর্ম এবং বেরিয়ে আসা সমস্ত দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে নিতেই এটা করা হয়েছে।
জিয়া যে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, এই প্রসঙ্গে শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখা আছে, যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীরোত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন, সেই খেতাবটি কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারই তাকে দিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে যান বিএনপি মহাসচিব। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও তার সঙ্গে আছেন।
নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলন : জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সরকারের কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই নিন্দা জানান। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয় : মন্ত্রী মোজাম্মেল
পরবর্তী নিবন্ধএকদিনে আরও ৩৮৮ রোগী শনাক্ত