‘রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে’

সংসদ সদস্যদের সাথে অপরাজিতাদের সংলাপ

| সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

অপরাজিতানারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের আয়োজনে গতকাল সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের একটি হোটেলে সংসদ সদস্যদের সাথে অপরাজিতাদের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম১২ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শামীমা হারুন লুবনা এমপি।

বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বানাজা ভূইয়া নিশির সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অপরাজিতা কর্মসূচির সমন্বয়কারী ওমর খৈয়াম, অপরাজিতা বিভাগীয় নেটওয়ার্কের সহসভাপতি এডভোকেট দিল আফরোজ, কঙবাজার জেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, কঙবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হুমায়রা, মিঠাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা খাতুন রিনাসহ অপরাজিতাবৃন্দ।

সভায় অপরাজিতারা বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ হিসাবে কাজ করছি। নারীরা সংরক্ষিত আসনের গতি ছাপিয়ে সাধারণ আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে অগ্রহী হয়ে উঠছে। কীভাবে নানামুখী তৎপরতার মাধ্যমে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে অধিকতর নারীবান্ধব ও জনমুখী করা হয় যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। উপস্থিত সংসদ সদস্যগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেত্রীরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মূল সূত্র হলো নিজের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সকল পর্যায়ে নারীদের সম্মানজনক অবস্থানে রাখার পাশাপাশি ক্ষমতায়নও জরুরি।

রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে উল্লেখ করে বক্তরা আরো বলেন, অপরাজিতাদের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের যে ঢেউ সঞ্চারিত হয়েছে, তা নিচ থেকে উপরে এসে নীতিনির্ধারণী মহলেও নাড়া দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অপরাজিতাদের পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিনা সিকদার এবং খুকী চৌধুরী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ডের (এসডিসিএর) সহায়তায় ‘অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে ২০১১ সাল থেকে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে প্রকল্পটি নতুন আঙ্গিকে বাস্তবায়িত হচ্ছে হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপরারেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং চারটি সহযোগী সংস্থা খান ফাউন্ডেশন, ডেমক্রেসিওয়াচ, প্রিপ ট্রাস্ট ও রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের ছয়টি বিভাগের ১৬টি জেলার ৬২টি উপজেলার মোট ৫৪০টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে শিপবিল্ডিং সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীরা
পরবর্তী নিবন্ধঈদগাঁওতে নির্বাচনী সহিংসতা : কর্মী খুনের ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে  মামলা