চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিতে ত্যাগী ও অভিজ্ঞ নেতার বড়ই অভাব। মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছাত্তার ছাত্র জীবন থেকে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ প্রগতিশীল শ্রমিকবান্ধব মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বামধারার রাজনীতিতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে থাকার সুবাদে গণতন্ত্র সামাজিক প্রগতি, সার্বভৌমত্ব, ইসলামী ভাবধারায় বলিয়ান হয়ে ৮০-৯০ এর দশকে শ্রমিক শ্রেণির ন্যায্য দাবি আদায়ে নেতৃত্বে থেকে ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষার প্রসারে নিজ এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, লেখক হিসেবে, সমাজসেবায় সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছাত্তার একজন প্রগতিশীল শ্রমিকবান্ধব মানুষ ছিলেন। দুনিয়ার স্বল্পকালিন জীবনে একজন মানুষ সমাজকে, দেশকে ব্যক্তিজীবনে কি দিতে পারলো, কি অবদান রেখে গেলো, মৃত্যুর পর মানুষের কল্যাণে কি করলাম তার হিসাব করা বড়ই প্রয়োজন। সাবেক মেয়র চসিক এলাকার একটি সড়ক মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছাত্তারের নামে নামকরণের জন্য বর্তমান প্রশাসকের কাছে দাবি জানান। তিনি গতকাল শুক্রবার শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছাত্তারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হল মিলনাতয়নে স্মরণসভা পরিষদের আহ্বায়ক, চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইনের সভাপতিত্বে পরিষদের সদস্য সচিব নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকীর পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন চবি ফিন্যান্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজনীতিক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক চাকসু ভিপি ও সংসদ সদস্য মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা তপন চক্রবর্ত্তী, প্রফেসর শাহ আলম, চট্টগ্রামস্থ নোয়াখালী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফিরোজ, ক্যাপ্টেন (অব.) শহিদ উদ্দিন মাহবুব, সোহেল মো. ফখরুদ্দিন, আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুজ্জামান পল্টু, জামাল উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, ফিরোজ আলম চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।