রাঙ্গুনিয়া ও বাঁশখালী ইউএনওর পরিচয়ে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি

রাঙ্গুনিয়া ও বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী ও বাঁশখালীর ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরীর নামে মুঠোফোনে চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি অবগত হয়ে দুই ইউএনও নিজ নিজ একাউন্ট থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া আবু হাশেম সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তারেক হোসাইন বলেন, শনিবার দুপুরে হোসনাবাদ ইউপি সদস্য মুহাম্মদ শাহেদকে ০১৯৫৬৪৫৬১৮৬ নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসার জন্য সরকারি কম্পিউটার বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলেন। ইউপি সদস্যের পরামর্শে আমি ওই নম্বরে ফোন দিলে তিনি রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও আতাউল

গনি ওসমানী পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসার জন্য কম্পিউটার বরাদ্দ হয়েছে বলে প্রক্রিয়ার জন্য ৪ হাজার ১০০ টাকা অফিস খরচ দিতে বলেন। কথা মতো ওই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিই। টাকা দেওয়ার পরও আরো টাকা লাগবে দাবি করলে সন্দেহ হয়। পরে দেখি মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ। তখন বুঝতে পারলাম প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি।

ইউএনও বলেন, মাদরাসার কম্পিউটার বরাদ্দের জন্য টাকা দাবি করা সম্পূর্ণ প্রতারণা। আমি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে অবগত করেছি, কেউ আমার নামে ফোন করে টাকা চাইলে না দেওয়ার জন্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা বলে কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নম্বর ক্লোন করে কেউ টাকা চাইলে বিকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ইদানিং এ ধরনের প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়েছে জেনেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীর ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী গতকাল শনিবার রাত ৮টায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর (০১৭৩৩৩৩৪৩৪৫) ক্লোন করে কেউ টাকা চাইলে কখনোই কেউ বিকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাইশারীতে রাবারের গুদামে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধএকটি হুইল চেয়ার ও এক স্বপ্নার সংসার