প্রণোদনা বীজ-সারের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় আউশ ধানের পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ শুরু হয় ২০১৭ সালে। তবে এবার প্রথমবারের মতো কৃষকরা নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে আউশের আবাদ করেছেন। আর প্রথমবারেই ভালো ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬ মেট্রিক টন পর্যন্ত ধান পেয়েছেন কৃষকরা। এ সাফল্যে আগামীবার আরও বেশি জমিতে আউশের আবাদের কথা জানিয়েছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এতদিন বছরের শুরুর দিকে বোরো এবং শেষের দিকে আমনের চাষাবাদ হলেও এখন বছরের মাঝামাঝি সময়ে আউশের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় ২০১৭ সাল থেকে আউশের পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু হয়। প্রথমে ইউনিয়ন কৃষি কমিটির মাধ্যমে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ-সার প্রদান করে আউশের আবাদ করা হয়। তবে বর্তমানে প্রণোদনার বীজ-সার ছাড়াই কৃষকরা নিজ উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ করে আউশ আবাদ করছেন। উপজেলায় এবার প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। ব্রিধান-২৮ এবং ৪৮ জাতের চাষাবাদে শুকনো ধানে হেক্টর প্রতি ৫.৯ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকার বিভিন্ন বিলে এবার আউশের চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার সর্বাধিক পদুয়ায় ২৫ হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ হয়েছে। এলাকার মৎস্য ও কৃষি খামারি এরশাদ মাহমুদের মাধ্যমে প্রথম আউশের আবাদ শুরু হলেও এবার অনেকেই তার দেখাদেখি আউশের আবাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষক এরশাদ মাহমুদ বলেন, আউশ চাষে খরচ কম, ফলন বেশি। তাছাড়া আউশ চাষাবাদের সময়টা বোরো এবং আমন চাষাবাদের মাঝখানে হওয়াতে এখন আর মাঝখানের সময়টা জমি পতিত থাকে না। নিজ উদ্যোগে প্রথমে পদুয়ায় নিজ জমিতে আউশের চাষাবাদ করলেও এবার অনেকেই তার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে আউশ ধানের চাষাবাদ করেছেন বলে তিনি জানান।
পদুয়ার কৃষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, গত মৌসুমে একজন কৃষক প্রণোদনার মাধ্যমে আউশের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পান। এবার তার কাছ থেকে বীজধান সংগ্রহ করে তিনি ২ একর জমিতে আউশ আবাদ করেন। এতে তিনি ভাল ফলনও পেয়েছেন। আগামী বছর আরও বেশি জমিতে আউশের আবাদ করার ইচ্ছে রয়েছে জানান তিনি।
 
        
