রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সন্তান প্রসব, অভিযুক্ত ধর্ষক গ্রেপ্তার

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিবন্ধী হাবাগোবা প্রকৃতির স্বামী পরিত্যক্তা এক ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের গোচরা বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম মো. ফারুক (৪৫)। তিনি পারুয়া ইউনিয়নের হাজারীহাট মুছা কাজীর বাড়ি এলাকার মো. হারুনের ছেলে। তিনি চন্দ্রঘোনা ৯নং ওয়ার্ড বনগ্রাম নতুন গ্রাম এলাকায় থাকেন। ধর্ষণের ঘটনায় সমপ্রতি একটি সন্তান ভূমিষ্ট হয় ওই নারীর। পুলিশি তৎপরতায় আসামি চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, ২৫ বছর বয়সী ভিকটিম স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় থাকেন তিনি। ওই নারীর একই পাড়ায় থাকেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ওই নারী মাঝে মাঝে অর্জিত অর্থ আসামি মো. ফারুকের নিকট জমা রাখতেন। এই সূত্র ধরে আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টা থেকে ৭ জুন রাত আড়াইটার মধ্যবর্তী সময়ে চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম আজিজনগর এলাকার একটি পরিত্যক্ত গ্যারেজে অভিযুক্ত মো. ফারুক ভিকটিম ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। তখন স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে চিকিৎসক নিশ্চিত করেন যে, ভিকটিম ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তখন এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ফারুক। ইতিমধ্যে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। আর গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবশেষে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, আলোচিত এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি বিয়ের প্রলোভন এবং অন্যটি ধর্ষণ। মামলায় গা ঢাকা দেয়া অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচীনের শুল্ক হ্রাসের ঘোষণা ট্রাম্পের
পরবর্তী নিবন্ধআজ সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটির অষ্টম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান