চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নানার বাড়ির ভবনের কার্ণিশ থেকে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার মরিয়মনগর বেয়ানবাজার এলাকায় পাকা দালানের কার্ণিশ থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।
তার নাম মিনহাজুল ইসলাম (১২)। সে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কাউখালি মৌলানা গ্রামের বাসিন্দা রোয়াজারহাটের কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে এবং বেতাগী ওয়াজ উদ্দিন শাহ কেজি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু বলেন, সকালে স্থানীয়রা খবর দেন ভবনের কার্ণিশে একটি ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে থানায় খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করেছে। তার স্বজনদের সাথে কথা বলে জেনেছি, কয়েকদিন আগে সে তার মায়ের সাথে নানার বাড়ির ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। আজ (বুধবার) সকালে তার মা আর নানী শহরে একটি কাজে যাওয়ার সময় তাকে গোচরা চৌমুহনী বাজারে নামিয়ে দিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বলে। এরপর তারা ছেলেটির মৃত্যুর সংবাদ শুনেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সে স্কুলে না যাওয়ার জন্য পুন:রায় মরিয়মনগর নানার বাড়ির বাসায় ফিরে আসে। এরপর বাসাটি বাইরে থেকে তালা মারা দেখে ভবনের ছাদ বেয়ে উঠতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিষয়টি তদন্ত চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে নিহতের স্বজন মো. শওকত বলেন, সবাই ধারণা করছে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত না। তবে এর পাশ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে একটি বৈদ্যুতিক তার চলে গেছে৷ নিচ থেকে ওই কার্ণিশে একটি সিড়িও লাগানো ছিলো বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও গিয়েছেন। কি কারণে এমন হলো বুঝতেছি না৷ সে তার মা-বাবার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান ছিলো। যেহেতু ছোট ছেলে তাই লাশটি বিনাময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, ছেলেটিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য তার মা-নানী গোচরা বাজারে নামিয়ে দিয়েছে বলে জানান। পরে সম্ভবত ছেলেটি পুনঃরায় নানার বাড়ি ফিরে আসে। বাসাটি তালা মারা দেখে ভবনের ছাদ বেয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছে। তার সাথে খাওয়ার জন্য কিছু প্যাকেট কেকও ছিলো। এসময় অসাবধানতার কারণে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধিন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।