রাঙ্গুনিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে নূর আয়েশা বেগম (৫৫) নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগে এই নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনায় রাঙ্গুনিয়ায় মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে চন্দ্রঘোনা আধুর পাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের স্ত্রী। একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাউছিয়া কমিটি টিম লাশের কাফন-দাফন সম্পন্ন করেন।
শুধু জুন মাসেই ৪ জনের মৃত্যু ও ১২৪ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
রাঙ্গুনিয়ার করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ফাহিম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়ায় ৩০ জুন পর্যন্ত ২৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৪৪ জন।
নূর আয়েশা বেগমের স্বজন মো. ফোরকান উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহ আগে নূর আয়েশা বেগমের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেফার করা হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৩ দিন আইসিইউতে রাখার পর তাকে রাঙ্গুনিয়ার হেলথ কেয়ার হাসপাতালে আনা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কুমার বিশ্বজিৎ নাথ বিশু বলেন, আমরা যখন ওনাকে দেখি তখন তার অক্সিজেন লেভেল একদমই কমে যায়। যার ফলে তাকে ভর্তি নেয়ার আগেই তিনি জরুরি বিভাগে মারা যান।
এদিকে নূর আয়েশা বেগমের দাফন-কাফন সম্পন্ন করেন উপজেলা গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবলু বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের গোসল, কাফন-দাফন ও সৎকারে শুরু থেকেই কাজ করছে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রাঙ্গুনিয়ার অন্তত ৩০ ব্যক্তির লাশ দাফন ও সৎকার করে গাউছিয়া কমিটি।