স্কুল শিক্ষিকা মা আগেই চলে গেছে। অন্যদিকে মামার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া স্কুল ছাত্রী শিশুটি পুকুরে গোসল করে স্কুলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু তার আর স্কুলে যাওয়া হলো না, তার আগেই পুকুরে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ফার্স্ট গার্ল এই ছাত্রীটি৷ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ি এলাকার পুকুরে এই ঘটনা ঘটে৷ নিহত শিশুর নাম সম্পূর্না সাহা মিমি (৯)। সে পার্শ্ববর্তী চার নম্বর ওয়ার্ড সুশীল ডাক্তার বাড়ির গার্মেন্টসকর্মী লিটন সাহার মেয়ে। সাবেক রাঙ্গুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে। তার মা সুমি সাহাও একই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গেছে।
নিহত শিশুর চাচা সৌরভ সাহা জানান, কয়েকদিন আগে মায়ের সাথে সে মামার বাড়ি বেড়াতে যায়। স্কুল শিক্ষিকা মায়ের সাথেই সে প্রতিদিন স্কুলে আসাযাওয়া করতো। তবে বুধবার তার মা আগেই স্কুলে চলে গিয়েছিলো। অন্যদিকে ছোট্ট মিমি নিজেই বরাবরের ন্যায় পুকুরে গোসলে নেমে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। সে পুকুর পাড়ে বসে মগের সাহায্যে গোসল করে। সম্ভবত সে গোসলে নেমে সবার অগোচরে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। পরে পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া টিংকু সাহা নামে এক পথচারী তার নিথর দেহ ভেসে থাকতে প্রথমে দেখেন। সবাই তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারে এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছোট সন্তান ছিলো বলে জানান তিনি।
সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইসমাইল হুসাইন জানান, হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা করে দেখা গেছে সে মারা গেছে।
উল্লেখ্য গত রোববার উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকায় মো. ইয়াছিন (১২) এবং আরআগে গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়ার দক্ষিণ পাড়া গ্রামে সুমাইয়া আক্তার(১১), রুবিনা পারভীন হাবিবা (৭) ও জান্নাত আক্তার (১০) নামে একসাথে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছিলো৷ এক সপ্তাহ’র ব্যবধানে এই নিয়ে ৫টি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন অপমৃত্যু কখনো কাম্য নয়, উল্লেখ করে বাচ্চাকে সাঁতার শেখানো ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান ডাক্তার ইসমাইল হুসাইন।












