রাঙ্গুনিয়ার চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভাণ্ডারী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি)।
চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হবে। এ মাসের ১১ তারিখ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও চাঞ্চল্যকর মামলায় হওয়ায় আদালত রায়ের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ধার্য করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, “মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তার আলোকে আমরা ১৩ আসামির ফাঁসি চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেছি। খুনের ঘটনায় সবার অপরাধ প্রমাণ করেছি।”
নিহত জিল্লুর ভাণ্ডারীর ছোট ভাই প্রবাসী ইকবাল হোসেন বলেন, “হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিদেশ থেকে দেশে আসলেও আসামিদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। গ্রামের বাড়ি যেতে পারি না। এমনকি গোপনে ভাই ও বাবার কবর জেয়ারত করতে হয়েছে। আমার ভাইকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করে তার ছোট ছোট সন্তানদের এতিম করেছে এবং তার স্ত্রীকে অল্প বয়সে বিধবা বানিয়েছে এবং আমার মাকে সন্তানহারা করেছে তাদের যেন আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির রায় দেয় এই প্রত্যাশা করি। দীর্ঘদিন এই মামলা চালাতে গিয়ে আমাদের নানাভাবে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় ফটকের সামনে জিল্লুর ভাণ্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সিআইডি এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেয়। ২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
এর আলোকে অভিযোগপত্রে মোট ২৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন স্বাক্ষীকে হাজির করে সাক্ষ্য নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আসামিদের মধ্যে প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম খোকন, জাহাঙ্গীর ও রমিজ উদ্দিন রঞ্জু কারাগারে।
অন্যদের মধ্যে ইসমাইল, জসিম, কামাল, আবুু, তোতাইয়া, নাছির ও সুমন এই ৭ জন পলাতক এবং আজিম, নাজিম ও শাহাব উদ্দিন এই তিনজন জামিনে রয়েছেন।