রাঙ্গুনিয়ায় প্রবাসী সেকান্দর চৌধুরী মামুনকে (৪২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই শাহাদাত হাছান মুরাদ।
মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে মো. ওসমান গনি (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম সরফভাটা গ্রামের মেহেরিয়া পাড়া এলাকার মো. হাবিব উল্লাহ’র ছেলে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মামুন উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের আলমগীর চেয়ারম্যান বাড়ির মরহুম মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি গেল এক মাস আগে দেশে এসেছিলেন। সৌদি আরবের রিয়াদ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন মামুন।
জানা যায়, ৩০ নভেম্বর উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই ঘটনার সমাধান করতে ১ ডিসেম্বর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরে দুই গ্রুপের মাঝে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রবাসী মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় আরও ৬ জন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে
গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে, গোলাগুলি হয়নি।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”