রাঙ্গুনিয়ায় ইমরান নবী ওরফে জুয়েল (১৬) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের পিতা মো. নবীর হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তাকে সহযোগিতা করেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মামলায় মো. মারুফ (১৭) নামে এক কিশোরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মো. মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মারুফ উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামের মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক আজমের ছেলে। জানা যায়, নিহত ইমরান রাঙামাটির জেলার রাজস্থলী উপজেলার শফিপুর গ্রামের মো. নবীর হোসেনের ছেলে। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস ইসলামিক মিশনারী সেন্টার এর কিতাব বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্র এবং মাদ্রাসার আবাসিকে থাকতো। গত ১৭ আগস্ট সে নিখোঁজ হয়। এরপর তাকে গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে একই এলাকার মাদ্রাসার পিছনে খালের পাড় থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশ। এদিন রাতেই হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং মামলায় অভিযুক্ত মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যাপারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাছান বলেন, গ্রেপ্তার মারুফ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে বলেছে নিহত ইমরানের কাছে সে দুই হাজার টাকা পাইতো, সেই বিরোধে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিহতের কাছে থাকা একটি আইফোনকে ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে গ্রেপ্তার মারুফের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার হয়। তারপরও বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।