টানা ভারী বর্ষণে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড খলিফাপাড়া পূর্বটিলার একমাত্র চলাচলের মাধ্যম কালভার্টটি পাহাড়ি ঢলের কারণে ভেঙে গেছে। এতে বাধ্য হয়ে তাৎক্ষণিক বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে গ্রামের শতাধিক পরিবার। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের সময় স্কুল শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে একই স্থানে কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটি ভেঙে পড়াতে খলিফাপাড়ার পূর্ব টিলাপাড়া এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কালভার্টটি ভেঙে পড়ার পর স্থানীয়রা চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্কুলে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে পা ভেঙে যায় ১১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জাহেদের। এছাড়াও সাঁকো পার হওয়ার সময় পা ভেঙে যায় সুমন নামের এক কৃষক ও মহিউদ্দিন নামের অন্য এক সিএনজি টেক্সি চালকের। এছাড়াও কালভার্টের পাশে সেমিপাকা ঘর করছেন ড্রাইভার রবিউল। তার ঘরও ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ইতোমধ্যে দেওয়ালের নিচ থেকে মাটি সড়ে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে তার ঘরটি।
স্থানীয়দের দাবি, কালভার্টটি পুনঃস্থাপন করা না হলে সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কালভার্টটি যেনো দ্রুত নির্মাণ করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, এই বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।