রাঙ্গুনিয়ায় দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠে এখন ঘন সবুজের সমারোহ। মৃদু বাতাসে ধান গাছের সবুজ পাতায় বইছে ঢেউয়ের খেলা। আর এই সবুজের ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। বরাবরের মতো ভালো ফলনের প্রত্যাশা তাদের।
উপজেলার বিভিন্ন বোরো ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে ছেয়ে গেছে প্রতিটি বোরো ধানের মাঠ। যেনো সবুজের গালিচা বিছিয়ে দেয়া হয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত কৃষি মাঠে। কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে মৃদু বাতাসে ঢেউ খেলানো অপরূপ সবুজের সমারোহে মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীরাও। অনেককে চোখ জুড়ানো এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধি করতেও দেখা গেছে।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ৩১৫ হেক্টর। তবে সেচ সুবিধার কারণে আবাদ বেড়ে চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের আবাদকৃত জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান–৮৮, ৮৯, ৯২, ১০০(বঙ্গবন্ধু), ব্রিধান–৭৪, হাইব্রিড ধান। এছাড়া স্থানীয় উন্নত জাতের মধ্যে কাটারিও চাষাবাদ হয়েছে।
গুমাইবিলের কৃষক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, বিগত আমন মৌসুমে বন্যা, পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। তাই বোরো মৌসুমে এবার তিনি ৮০ কানি জমিতে চাষাবাদ করেছেন। এবারও ধান পরিপুষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই কথা জানালেন মো. জামাল নামে অপর এক কৃষক। তিনিও এবার ১০ কানি জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। একইভাবে স্থানীয় কৃষক নাজু সওদাগর ৬০ কানি, আবু জাফর ৮ কানি জমিতে বোরো আবাদ করেছেন।
গুমাইবিলে দায়িত্বরত উপসহকারী উত্তম কুমার জানান, ধানের আবাদ এখন সর্বোচ্চ কুশি অবস্থায় রয়েছে। ধানের বয়স দুই থেকে আড়াই মাস হয়েছে। আগামী দুই মাস পর ফলন আসবে। উন্নতজাতের বীজের আবাদ হওয়ায় এবার বোরোতে জাতভেদে ফলন হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬–৮ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, বোরো আবাদে কৃষকের উৎসাহ জোগাতে বিপুল পরিমাণ উন্নতজাতের কৃষি বীজ ও সার দেয়া হয়েছিলো। এছাড়া বীজতলা থেকে রোপণ কার্যক্রম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। তাই আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আশা করি কৃষকরা বরাবরের মতোই ভালোভাবে বোরো আবাদ সম্পন্ন করতে পারবেন।