রাঙ্গুনিয়ায় পরিবারের সাথে বেড়াতে এসেছিলো দুই শিশু। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার কোদালা সুলতানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ঘাট দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে তারা। এসময় সবার অজান্তে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু দুটি। পরে বেলা ১২টার দিকে তাদের একজনের লাশ পাওয়া যায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে অপর শিশুটি।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড রাইখালীর বাসিন্দা রিক্সাচালক মো. আব্দুল গনির বাড়িতে চট্টগ্রাম ষোলশহর এলাকায় বসবাসকারী তার মেয়ের পরিবার ও পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী ভোলা জেলার একটি পরিবারসহ মোট ছয় জন সদস্য ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসে।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কোদালা সোলতানিয়া মাদ্রাসার পাশে রাইখালী জাহাঙ্গীর ড্রাইভার ঘাটায় রিক্সাচালক মো. আব্দুল গনির নাতি মোহাম্মদ ইমন (৬) ও ভোলা থেকে বেড়াতে আসা আট বছরের মেয়েটি কর্ণফুলী নদীতে খেলার সময় গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। দুপুর সাড়ে বারটার দিকে মেয়েটির মরদেহ চন্দ্রঘোনা রাইখালী ফেরীঘাট কর্ণফুলী নদীতে ভাসমান অবস্থায় চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
রিক্সাচালক মো. আব্দুল গনি জানান, সবার অজান্তে খেলা করার সময় বেড়াতে আসা তার নাতি ইমন ও ভোলা থেকে আসা ছোট মেয়েটি কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে যায়। মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার হলেও তার নাতি ইমন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ইমনের পিতার নাম মো. ফোরকান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বজনরা নিখোঁজ ইমনের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. শাহজাহান কামাল জানান, জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে জানতে পারি অপর আরও একটি বাচ্চা নিখোঁজ রয়েছে। তাকেও উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।