চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বালু তোলা বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ড্রেজার, লোডার এবং বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে এবং বালু তোলার সাথে জড়িত ৭ জনকে ১ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড গোলাম বেপারি হাট এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান। অভিযানে সহযোগিতা করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বালু তোলার কর্মরত শ্রমিক জিয়াউর রহমান (৩৩), মোহাম্মদ হাসান (৩০), মো. সোহেল (২৫), ফারুক হোসেন (৪৮), ইউসুফ (২০), মো. সাদেক (২৮) ও আব্দুল আজিজ (৩০)।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ উপায়ে বালু তোলা ও পাচাররোধে অভিযানকালে দেখা যায় বেতাগী ইউনিয়নের গোলাম বেপারী হাট এলাকায় নদীর কূলঘেঁষে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ উপায়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ সময় বালু তোলার ড্রেজার, লোডার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয় এবং ৭ জন শ্রমিককে একদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
এদিকে অভিযানকালে বৈধ ইজারাদাররা নদীপাড়ে অবস্থান নেন। অভিযোগ করে তারা জানান, এক মাস ধরে ইজারা শর্ত মেনে বৈধভাবে নদীর মাঝখান থেকে তারা বালু তুলছেন। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে কিছু লোক পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি কাগজ দেখিয়ে নদীর যত্রতত্র স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর দুই পাড়ের ক্ষতি হচ্ছে এবং বৈধ ইজারাদাররাও তাদের বিনিয়োগ উঠাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগজটিও ভূয়া বলে তারা দাবি করেন। যারা এরসাথে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান প্রকৃত ইজারাদাররা।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান জানান, “অবৈধ বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’