রাঙ্গুনিয়ায় বন্যায় বিধ্বস্ত সড়ক জরুরিভিত্তিতে সংস্কার শুরু

ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হচ্ছে সহায়তা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে জরুরীভিত্তিতে সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই কাজে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে এসেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ধামাইরহাটরাজারহাট সড়কে বন্যার পানিতে গোলাম মোহাম্মদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টের উভয় পাশে বিধ্বস্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে যান ও জনচলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তবে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় সড়কের বিধ্বস্ত অংশ সংস্কার করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে কাজটি করানো হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। শুধু এই সড়কই নয়, বিধ্বস্ত অন্যান্য সড়কগুলোও পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হচ্ছে। তবে স্থায়ী সংস্কারে উর্ধ্বতন মহলে তালিকা পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়িঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো রাঙ্গুনিয়ায়। এতে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের অন্তত ৫০০টি বসতঘর প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভেসে উঠেছে ক্ষত। এতে অন্তত বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি আভ্যন্তরিণ সড়ক, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতঘর, নষ্ট হয়েছে ফসলি জমি, ডুবে যাওয়া পুকুর থেকে মাছ ভেসে গেছে এবং তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে নদী পাড়ে। ৩৪ ফুট পানিতে ডুবে ছিলো শস্যভান্ডার গুমাইবিলের সাড়ে তিনহাজার রোপা আমনের চারা। রোববার গুমাইবিলের পানিও অনেকটা নেমে গেছে। বিলের ৭০শতাংশ আবাদ বন্যা সহনশীল ব্রীধান৫১ আবাদ হওয়ায় তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস। উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম জানান, বন্যায় মূল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও অভ্যন্তরিণ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূল সড়কের ১৫টি রাস্তার ২০ কিলোমিটার অংশ ক্ষতি হয়েছে। মূল সড়কগুলোতে বালির বস্তা দিয়ে তাৎক্ষণিক যান চলাচল ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিধ্বস্ত সড়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংস্কার করে তাৎক্ষণিক চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে সড়কগুলো স্থায়ীভাবে সংস্কার করা যাবে। এই ব্যাপারে ইউএনও মাহমুদুল হাসান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার সময় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে তাৎক্ষণিক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে চাল ও শুকনো খাবার প্রদান করা হয়। জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা দেয়ার পর সহায়তা পৌঁছানো হবে। যাদের কাঁচা বসতঘর বেশি নষ্ট হয়ে গেছে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এসব ঘর মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যক্তি এবং সরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল মহানগর শাখার সভা
পরবর্তী নিবন্ধবানভাসি মানুষের পাশে বিভিন্ন সংগঠন