রাঙ্গুনিয়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী উপজেলায় পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেরুন্নেছা রুহি (৮) উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি সুইটস এলাকার ব্যবসায়ী শওকত হোসেন মঞ্জুর শিশুকন্যা। গতকাল সন্ধ্যার পর মেহেরিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানা যায়, দুই দিন আগে সরফভাটা থেকে লিচুবাগান ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল রুহি। গতকাল সকালে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে নামলে তলিয়ে যায় সে। তাকে না পেয়ে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা পুকুরে নেমে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের টিম লিডার জাহেদুর রহমান বলেন, পানিতে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানির তলদেশে ওই শিশুর নিথর দেহ পান। ততক্ষণে ওই শিশুটি বেঁচে নেই।
এদিকে কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় পুকুরে ডুবে ইসরাত জাহান নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের রোমাই পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ওই গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে ইসরাত জাহান সবার অগোচরে পাশের পুকুরে ডুবে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে পুকুরে সন্ধান করে। পরে পুকুর থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারে পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটি মৃত বলে জানান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ওয়াজিদ নামে ৬ বছরের এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়।
মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়িতে পুকুরে ডুবে মো. সোহাগ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নোনাছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু সোহাগ ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটি খেলার সময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।