রাঙ্গুনিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক প্রবাসীর ঘরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুজনকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সারাশিয়া গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রবাসীর মা মরতুজা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় একই ইউনিয়নের হারুয়ালছড়ি গ্রামের রফুর ছেলে রুবেল (৩০), ইদ্রিসের ছেলে সাহেদ (২২), সারাশিয়া গ্রামের রেজাউলের ছেলে সুমন (২৫) এবং হানিফের স্ত্রী জুলেখা এই চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয়রা জুলেখা ও সুমনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বসতঘরে ঢুকে। পরে ঘরে থাকা প্রবাসীর মা মরতুজা বেগম ও দুই পুত্রবধূকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত–পা রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। পরে আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৬টি কম্বলসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে সন্ত্রাসী রুবেল তার হাতের মোবাইল থেকে ভুক্তভোগী মরতুজা বেগমকে তার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও নাতি জাকারিয়া ও আয়াত এবং পুত্রবধূ নাজমা আকতারের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
প্রধান আসামি রুবেল এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, জুলেখার সাথে পারিবারিক বিরোধের জেরে তার ইন্ধনে এবং সহযোগিতায় অভিযুক্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই মো. সুজাউদ্দৌলা জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।