রাঙ্গুনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় পুত্রের দায়ের কোপে মা ও ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাইজপাড়া গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত নুরুল আমিনের স্ত্রী খাইরা বেগম (৭০), তার চতুর্থ পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫) এবং তাঁর ৬ মাসের অন্ত:স্বত্তা নাজনিন আক্তার (১৮)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অভিযুক্ত দুই বড় ভাই ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছোট ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩২)। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আহত আনোয়ারের সাথে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম (৪০) এবং সামশুল আলম (৪২) এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সালিসি বৈঠক হলেও তারা বিচার শেষে না মেনে ওঠে যায়। গত ১৬ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১টার দিকে সীমানা প্রাচীরের একটি টিন সরানোকে কেন্দ্র করে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। কারণ জিজ্ঞেস করতেই দেশীয় অস্ত্র হাতে মা খাইরা বেগমের উপর হামলা চালায় পুত্র নজরুল ও তার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম (৩২)।
তিনি মায়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং পুত্রবধূ জ্যোৎস্না বেগম লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। মাকে বাঁচাতে পুত্র আনোয়ার এগিয়ে এলে তাকেও উপর্যপুরি দা দিয়ে আঘাত করে। এতে তার বাম চোখের উপর ও বাম হাতে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
তাদের আর্তচিৎকারে আহত আনোয়ারের অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী নাজমিন আক্তার এগিয়ে এলে তাকেও অভিযুক্ত নজরুল ও তার স্ত্রী জ্যোৎস্না লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর যখম করে। এমনকি তারা পালিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করলে সেখানেও তাদের লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়।
তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিকে তারা যখন চিকিৎসা নিতে ব্যস্ত অন্যদিকে এই সুযোগে ঘরের দরজা ভেঙে আহত আনোয়ারের বিদেশ যাওয়ার জন্য রাখা নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে গেলে ঘটনার ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন প্রতিবেশীরা। এসময় অভিযুক্তদের ঘরে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মির্জা বলেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এসময় তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।